Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মৌসুমী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের জরুরী তথ্য (২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি: দুপুর ১২ টা)


প্রকাশন তারিখ : 2024-09-29

মৌসুমী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের জরুরী তথ্য
(২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:  দুপুর ১২ টা)

বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত স্টেশন (সে.মি.): 
কাউনিয়া (তিস্তা নদী, রংপুর) +৩২

বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.):
দার্জিলিং (পশ্চিম বঙ্গ) ৩৮.০, কোচবিহার (পশ্চিম বঙ্গ) ৩৫.০,গ্যাংটক (সিকিম) ৩৭.০, পাসিঘাট (অরুণাচল) ৩৯.০ এবং শিলিগুড়ি (পশ্চিম বঙ্গ) ৩০.০।

বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.):
সুনামগঞ্জ ১৯৮.০, ছাতক (সুনামগঞ্জ) ১০০.০,জাফলং (সিলেট) ৯৫.০, জামালপুর ৭৬.০, লালাখাল (সিলেট) ৫৮.০, মহেশখোলা (সুনামগঞ্জ) ৫৫.০, সিলেট ৫১.০, লরেরগড় (সুনামগঞ্জ) ৫০.০, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) ৫০.০, দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) ৪৫.০।

রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি সমতল রংপুর জেলার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, অপরদিকে ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (≥৮৯ মি.মি/২৪ ঘণ্টা)  প্রবণতা কমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী ০২ দিন হ্রাস পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন চরাঞ্চল এবং কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। পরবর্তি ০২ দিনে তিস্তা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হতে পারে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। অপরদিকে আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ— আপার আত্রাই, আপার করতোয়া, পূনর্ভবা, ঘাঘট, ইছামতি-যমুনা ও যমুনেশ্বরী নদী সমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে টাঙ্গন নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী ০২ দিন নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে। 

রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানিসমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ০২ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তি ০৩ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে ।

রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে, পরবর্তী ০১ দিন পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী ০৩ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। 

রাজশাহী বিভাগের করোতয়া, আত্রাই, বাঙ্গালী ও ছোট যমুনা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে মহানন্দা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পরবর্তী ০১ দিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী ০১ দিন নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে। 
 
সিলেট বিভাগের সুরমা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২ দিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। পরবর্তী ১ দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার প্রেক্ষিতে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল  বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ— মনু, খোয়াই ও ধলাই নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে ভুগাই, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী ও কংস নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২ দিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। পরবর্তী ০১ দিন সিলেট বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

চট্টগ্রাম বিভাগের সাঙ্গু ও গোমতী নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে মুহুরী, ফেনী, হালদা ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২ দিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। পরবর্তী ১ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, গোমতী ও ফেনী নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। অপরদিকে হালদা, মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। 

বাংলাদেশ আবহাওয়া সংস্থার তথ্যানুযায়ী, সংশ্লিষ্ট বঙ্গোপসাগর এলাকায় কোন লঘুচাপ না থাকায় আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিক জোয়ার পরিলক্ষিত হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র
বাপাউবো, ঢাকা।